বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে আগ্রহী কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত

https://www.youtube.com/watch?v=IlfzFXoil4I

34

বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিএফএমডি)-এর নবম শীর্ষ সম্মেলনে দেশ দুটি এমন আগ্রহের কথা জানায়। সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র সঙ্গে পৃথকভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন কাতারের প্রশাসনিক উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী ড. ঈসা বিন সাদ আল জাফালি আল নাঈমী এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন বিষয়ক মন্ত্রী গোবাস সাকর গোবাস। এ সময় তারা এ বিষয়ে নিজ নিজ দেশের ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানান। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন কর্মীদের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। কাতারের সব ধরনের দক্ষ কর্মী পাঠাতে বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত।

বিকেল ৫টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন বিষয়ক মন্ত্রী গোবাস সাকর গোবাস-এর সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র পৃথক আরেকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কর্মী পাঠানো সম্পর্কিত বিষয়দি, বিশেষ করে পুরুষ কর্মী পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

এর আগে বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) -এর মহাপরিচালক গাই রাইডার-এর সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলামের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বাংলাদেশি কর্মীদের শ্রম অধিকার ও বিভিন্ন আইন প্রণয়নে সহযোগিতার জন্য আইএলও মহাপরিচালকে ধন্যবাদ জানান। আগামীতে এ সহযোগিতা অব্যাত রাখার অনুরোধ জানান।

আইএলও মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের কর্মীদের নিরাপদ অভিবাসন ও শ্রম অধিকার সংরক্ষণে আইএলও সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় কর্মী পাঠাতে হবে এবং এতে কর্মী অধিকার সুরক্ষা হবে।

বেলা সোয়া ৪টার দিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম)-এর মহাপরিচালক উইলিয়াম লাসি সুইং-এর সঙ্গেও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাত হয়। সাক্ষাতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নিরাপদ অভিবাসন তৈরি কাজ করতে আইন প্রণয়নে সহযোগিতার জন্য আইওএম এর মহাপরিচালকে ধন্যবাদ জানান। আগামীতে এ সহযোগিতা অব্যাত রাখারও অনুরোধ জানান।

আইওএম- এর মহাপরিচালক বলেন, আগামীতে বাংলাদেশ থেকে অধিক হারে কর্মী পাঠানো হবে। প্রত্যেক কর্মীর নিরাপদ অভিবাসনের ব্যাপারে তার সংস্থা সব ধরনের সহযোগিতা করবে। এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন (জিএফএমডি সম্মেলন) বাংলাদেশের অভিবাসন ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা করবে। নিরাপদ অভিবাসন তৈরিতে কাজ করবে।

এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম শামছুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস-এনডিসি, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. বদরুল আরেফিন, মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহসিন চৌধুরী এবং উপ সচিব মোহাম্মদ শাহীন উপস্থিত ছিলেন।

ধামাকা অফার চলছে !BRAND BAZAAR এ LED / 3D/ Smart / 4K TV AC , 40- 65% ডিস্কাউন্ট !

আরও পন্য দেখতে ছবির উপরে ক্লিক করুন 1lg-copy-copy

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment